সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন কয়লাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ’র সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম। রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার পর তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুলের বাবা মো. ইকবাল জানান, ভোরে তৌফিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা সবাই ভালো আছে। সোমালিয়া থেকে দুবাই যাবে বলেছে আমাদের। তিনি আরও বলেন, অনেক উৎকণ্ঠায় ছিলাম ছেলেকে নিয়ে। মোবাইলে সে পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলেছেন।
মো. তৌফিকুল ইসলাম খুলনার বয়রা করিম নগর এলাকার মো. ইকবালের তৃতীয় সন্তান। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি।
গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার জলদস্যুর মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি করে বাংলাদেশের কয়লাবাহী জাহাজ এমডি আব্দুল্লাহ ও তার ২৩ নাবিককে। ৩২ দিন পর সোমালিয়ার সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৮ মিনিট) জাহাজটি থেকে দস্যুরা নেমে যায়। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় এমভি আবদুল্লাহর দুই পাশে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাহারা দিয়ে সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করতে থাকে।