“আসুন শব্দদূষণ রোধে সকলে সচেষ্ট হই” প্রতিপাদ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরে শ্রমজীবী চালকদের মাঝে ম্যানুয়েল হর্ণ বিতরণ করেছে পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি।
এ সময় সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন বলেন, শব্দ সচেতনতা শব্দদূষণ রোধের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে সকলকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। উচ্চ শব্দ নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিকতা ছিল। এই নিয়ে আইনও আছে। তবে তা বাস্তবায়নে ঢিলেমিও আছে। শব্দদূষণের ক্ষতির কথা বলে শেষ করা যাবে না। শুধু সচেতন হতে হবে। অহেতুক উচ্চ শব্দ করা এড়াতে হবে।শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
বুধবার ২৪ এপ্রিল শহরের চাষাড়া মোড়ে বিকেল বেলায় সচেতনতামূলক কার্যক্রমে পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেদ মোশারফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, শব্দ দূষণ একটি নীরব ঘাতক। আমরা শব্দ দূষণের প্রতিরোধে সচেতনতায় সামাজিক সংগঠন এবং বেসরকারি সংগঠনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। নিজস্ব কাজের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলো যদি শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, তাহলে সমাজে কার্যকর প্রভাব পড়বে। নগরজীবনে স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি অন্যতম কারণ শব্দ দূষণ। নির্মাণকাজ, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে এ সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে একদিকে জনগণ যেমন শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার ঝুঁকিতে রয়েছে, সেই সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শব্দ দূষণ দুশ্চিন্তা, অবসাদ, উদ্বিগ্নতা, নিদ্রাহীনতা ইত্যাদি বাড়িয়ে দেয়, যা দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সচেতনতা বৃদ্ধিতে সোনারগাঁও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জহিরুল ইসলাম খোকন বলেছেন, শব্দদূষণ থেকে মুক্ত থাকতে আমাদের প্রত্যেককে শব্দ সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় শব্দ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ লক্ষ্যে শিশুদের শৈশব থেকেই শব্দ সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে। সবাই মিলেই নিরাপদ আবাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা গড়ে তুলব ‘শব্দদূষণমুক্ত পরিবেশ, শেষ হাসিনার বাংলাদেশ’।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম কর্মী ও পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহ জালাল সহ অন্যান্য।