ফ্যাশন সচেতনরা নানা কাটিংরে পায়জামা বা প্যান্ট পরেন ট্রেন্ড অনুসারে। বর্তমানে প্যান্ট কাট পায়জামা, সারারা, ঘারারা কিংবা পালাজোর মতো পায়জামার চল বেশি।
পায়জামা যেটিই হোক না কেন তা ঢিলেঢালা হওয়াটা জরুরি, কারণ তা বেশ আরামদায়ক হয়। আর এ কারণে অনেক নারী-পুরুষই নিত্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা পায়জামাগুলোই বেছে নেন।
আজ কিন্তু আপনার পছন্দের পায়জামাটি পরতে পারেন। কারণ আজ জাতীয় পায়জামা দিবস। অতীতে পায়জামা শুধু রাতে শোয়ার সময় নাইট ড্রেস হিসেবেই বেশি ব্যবহৃত হত। তবে বর্তমানে ফ্যাশন সচেতনরা এটি ব্যবহার করছেন আধুনিক ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হিসেবে।
জাতীয় পায়জামা দিবসের উৎপত্তি হয়েছে কীভাবে, তা উল্লেখিত নেই। এটি তেমন কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার সাথে যুক্ত নয়। আসলে পায়জামা পরায় যে আরাম বোধ হয় তা উদযাপনের উদ্দেশ্যেই পায়জামাপ্রেমীরা এই দিবসটি উদযাপন করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
পায়জামা মূলত দক্ষিণ এশিয়া, প্রাথমিকভাবে ভারত থেকে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে এসেছে। পায়জামা শব্দটি দুটি হিন্দি শব্দে ফিরে আসে যেমন- ‘পাই’ অর্থ পা, ও ‘জামা’ অর্থ পোশাক, যার অর্থ একসঙ্গে জামার সঙ্গে প্যান্ট।
অতীতে এশিয়ায় যে পায়জামাগুলো চল ছিল সেগুলো হতো হালকা-ফিটিং ট্রাউজার। যা তৈরি হতো হালকা ওজনের ফ্যাব্রিক থেকে, যেমন- সিল্ক বা সূক্ষ্ম তুলা দিয়ে।
১৮-১৯ শতকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের মাধ্যমে এই শৈলী ইউরোপে আসে। ব্রিটিশরা লাইটওয়েট স্লিপওয়্যার হিসেবে প্রথমে পায়জামার ব্যবহার শুরু করে।
পরবর্তী সময়ে নতুন লাউঞ্জওয়্যার এর সঙ্গে নাইট শার্ট বাজারে আনে। বিভিন্ন অঞ্চল ও উপনিবেশজুড়ে পায়জামা সেট রপ্তানি কাজ শুরু হয় ও দ্রুত সবার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে তা।
বিংশ শতাব্দী একটি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হিসেবে পায়জামার একটি নতুন যুগের সূচনা করে। পায়জামা একটি প্রিয় লাউঞ্জওয়্যার হয়ে ওঠে। অভিনব লাউঞ্জিং পায়জামা সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে, এমনকি স্টাইল আইকন কোকো চ্যানেলও গ্রহণ করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, পায়জামা বিভিন্ন রঙে ও নকশায় তৈরি করা হয়। অগণিত কাপড় (যেমন- ফ্ল্যানেল, আধুনিক দিনের প্রিয়) ও উজ্জ্বল রং ও প্রিন্ট সরবরাহ করে। শিশুদের পায়জামায় মজাদার চরিত্র ও কার্টুন আঁকা হতো, তাদের আকৃষ্ট করতে। বর্তমানে পপ সংস্কৃতির অংশ হিসেবেও বেড়েছে পায়জামার কদর।
২০০৪ সালে পায়জামাগ্রাম (একটি নেতৃস্থানীয় পায়জামা প্রস্তুতকারক) প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘কেন এই অনন্য আরামদায়ক পোশাকের জন্য একটি দিবস উদযাপন করবেন না?’ এভাবেই জাতীয় পায়জামা দিবসের জন্ম হয়।
সূত্র: ডে’স অব দ্য ইয়ার