আমি নারী, আমি পারি। আমি নারী এই পরিচয়ের আগে আমার পরিচয় আমি একজন মানুষ। হ্যাঁ শুধু নিজেকে মানুষ হিসেবে পরিচয় দেওয়ার জন্যই নারী-পুরুষের এই সমান অধিকার চাওয়া। বর্তমানে প্রায় সবক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ লক্ষণীয় কিন্তু সেই অংশগ্রহণের জন্য রাস্তাটি সবার জন্য সহজ নয়। ‘নারী’ শব্দের প্রথমেই আসে ‘না’ কথাটি, তাই হয়তোবা একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নারীকে শুনতে হয় ‘না’। তুমি যেতে পারবে না, তুমি কাজটি করতে পারবে না, এমন হাজারো না কথা উপেক্ষা করে যে এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেখায়, সেই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
নারীর অবস্থা এখন অনেক উন্নত হয়েছে এমন একটি প্রচার-প্রচারণা থাকলেও নারীরা প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা আজো পাচ্ছে না। নারীর স্বাধীনতা দূরে থাক নারীর সচেতনতাকেও ঔদ্ধত্য বলে গণ্য করা হয়। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার সবার। পরিবারে নারীর অবস্থানকে কেন্দ্র করেই নারীর পরিসর তৈরি হয়। নারীর আত্মসম্মান ও মর্যাদাবোধ গড়ে ওঠে পরিবারে প্রতিষ্ঠিত নারীর অবস্থানের ওপর ভিত্তি করেই।
নারীর মতামত, সিদ্ধান্ত, তার কাজের গুরুত্ব দেওয়াই নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন। রাস্তায় কোনো নারীর দিকে চোখ তুলে তাকাবেন না অথচ নিজের বাড়িতে মা, বোন, স্ত্রীর মতামতের, সিদ্ধান্তের মূল্য দিবেন না তাহলে আর যাই হোক আপনার নারীর প্রতি সম্মান নেই। নারীর প্রতি সম্মানের কথা সকল ধর্মে উল্লেখ রয়েছে। নারী কখনো আপনার মা, কখনো বোন, কখনো স্ত্রী। যারা হাসতে হাসতে অপরের জন্য বিলিয়ে দেয় নিজের ইচ্ছা, আনন্দ সে হলো নারী আপনার মা আপনার জন্য সব ছাড়তে রাজি হবে, আপনার স্ত্রী আপনার সন্তানের সুখের কথা ভেবে নিজের সব ছাড়তে রাজি। এভাবেই নারীরা একাই সমস্যা ও সমাধানের হালটি নিজের কাধে তুলে নেয় অপরকে ভালো রাখতে। সেই নারীর জন্য যাই করার হোক তাই কম বলে মনে হবে।
সত্যি যেন নারী পুরুষের ভেদাভেদ দূর হয় সমাজ থেকে, পরিবার থেকে। নারীকে মানুষ হিসেবে মূল্য দিতে শিখি আমরা। একজন নারী হিসেবে যেন বলে উঠতে পারি ‘আমি নারী, আমি অদম্য’।
লাইফস্টাইল মডেল: তাজরুবা সারিন