বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

বাবা হলেন শাহিন, আফ্রিদি হলেন ‘কনিষ্ঠ’ নানা

বাংলাদেশের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট চলাকালেই (শনিবার) পুত্রসন্তানের জনক হলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। সে সুবাধে ‘নানা’ হয়ে গেলেন শহিদ আফ্রিদিও। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির মেয়ে আনশার সঙ্গে বিয়ে হয় শাহিন শাহ আফ্রিদির।

শাহিন আফ্রিদি বাবা হওয়ার পর শহিদ আফ্রিদিকে ক্রিকেটবিশ্বের ‘সর্বকনিষ্ঠ নানু’র তকমা দিচ্ছে নেটিজেনরা। কারণ, মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই নানা হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন তিনি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বিষয়টা উপভোগও করছেন।

২০২১ সালে বাগ্‌দান হয়েছিল আনশা এবং শাহিন শাহ আফ্রিদির। এরপর গত বছর সেপ্টেম্বরে করাচিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। শনিবার পিসিবির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আফ্রিদি পরিবার থেকে এই সুখবর জানানো হয়। নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে আলি ইয়ার আফ্রিদি।

নানা হওয়ার খবর প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পাচ্ছেন শহিদ আফ্রিদিও। শাহিন এবং আনশা তো পাচ্ছেনই। রোববার শহিদ আফ্রিদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘ক্রিকেটবিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নানু হওয়ার পর থেকে বন্ধুবান্ধবদের থেকে প্রচুর ভালবাসা এবং অনেক বার্তা পেয়েই চলেছি। আমার পরিবার এবং আমি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। এখন গোটা পরিবারেই খুব খুশির মুহূর্ত।’

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে খেলা অনিশ্চিত ছিল শাহিনের। কারণ তার স্ত্রী আনশা আসন্নপ্রসবা ছিলেন। সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকার কথা ভেবেছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলকেই বেশি গুরুত্ব দেন। শনিবার শাহিন যখন দেশের হয়ে খেলতে ব্যস্ত ছিলেন, সে সময়ই পুত্র সন্তানে জন্ম দেন আনশা।

Afridi

করাচি গিয়ে এরই মধ্যে নবজাতকের সঙ্গে দেখা করেছেন শাহিন আফ্রিদি। আবার রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই এসে দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে তার। ৩০শে আগস্ট দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজকে আউট করে বাবা হওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শাহিন। পাকিস্তানি এই পেসারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মাহসিন নাকভি এবং প্যারিস অলিম্পিকে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণজয়ী আর্শাদ নাদিমও।

প্যারিস অলিম্পিকে সোনাজয়ী নাদিম এক্স একাউন্টে লিখেছেন, ‘পুত্র সন্তানের বাবা হওয়ার জন্য শাহিন আফ্রিদি তোমাকে অভিনন্দন। শহিদ আফ্রিদিকেও অভিনন্দন নানু হওয়ার জন্য। আল্লাহ পরিবারের ক্ষুদে সদস্যকে সুস্থ রাখুন। আশা করব নতুন এই অধ্যায় পরিবারে আরও খুশি নিয়ে আসবে। পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন।’

Join Manab Kallyan