কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল নামে একটি সংগঠন। তাদের মতে, স্বায়ত্তশাসনের জন্য প্রশাসনিক অপারেশন ও অর্থ ব্যয়ের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এ প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানভীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাসুদ মিয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল জানায়, সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইন সংশোধনপূর্বক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বায়ত্বশাসন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তাদের নতুন আইনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্বায়ত্বশাসিত জবাবদিহিতামূলকভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, পরিচলানা পর্ষদের সদস্য ও কর্মকর্তাদের যে কোনো প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। আমরাও বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এ প্রয়োজনীয় সংশোধনের দাবি জানাই।
এ সময় ১১ দফা দাবি পেশ করা হয়। তাদের দাবির মধ্যে ছিল- স্বার্থের সংঘাত ও ব্যাংকিং খাতে দ্বৈতশাসন রোধকল্পে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্ত করা; বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের কাঠামো গত সংস্কার সংশোধন; ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি ও অন্যান্য সংস্কার সাধন; বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদকে সাংবিধানিক পদে অন্তর্ভুক্তকরণ, পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা এবং গভর্নর হিসেবে খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা নিয়োগ; ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধানের পদকে নিয়মিত পদে রূপান্তর এবং সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা দেওয়া; বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও প্রভাবমুক্ত করণ; বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের পদকে গ্রেড-১, পরিচালক পদকে গ্রেট-২ এবং অতিরিক্ত পরিচালকের পথকে গ্রেড-৩ এ উন্নীতকরণ; অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্বের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তন; বিগত বছরে সমূহে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যেসব সুবিধা বাতিল করা হয়েছে পুনর্বহলকরণ; অন্তমুখি রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষে মিশন সমূহে ব্যাংকিং এটাচি পদ সৃষ্টিকরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পদায়ন করা।
