আলুর ব্যাপারীও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
তিনি বলেন, দেখা গেছে আলুর ব্যাপারীও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়ে শিক্ষকদের নির্যাতনের চেষ্টা করেছেন। অথচ তিনি শিক্ষার ‘শ’ ও জানেন না। সভাপতির চেয়ারে বসে আমাদের শিক্ষকদের বিভিন্ন ওয়াজ-নসিহত করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, টাকার জোরে ম্যানেজিং কমিটিতে চলে আসেন কেউ কেউ। তিনি আবার শিক্ষকদের ধমক দিয়ে কথা বলেন। এটা তো শিক্ষকরা মেনে নেবেন না।
মঙ্গলবার (২২ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে শিক্ষক সমিতির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিন এসব কথা বলেন।
মাউশি ডিজি বলেন, ‘এটা কীভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে শিক্ষা প্রশাসন দীর্ঘদিন চেষ্টা করে আসছিল। অনেক কষ্টের পর নীতিমালা করা হয়েছে। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে হলে অন্তত এইচএসসি পাস হতে হবে। ভবিষ্যতে এটা মাস্টার্স ডিগ্রি করা হবে।’
সর্বজনীন পেনশন শিক্ষকদের আর্থিক সুরক্ষার জন্য ভালো বলেও উল্লেখ করেন মাউশি ডিজি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন চালু হলে শিক্ষকদের অবসরের পরে অবসর কল্যাণ ভাতার পেছনে ছুটতে হবে না। এটা সবার জন্যই ভালো হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশে এ সর্বজনীন পেনশনের ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশেও এটার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে কোয়ালিটিফুল কাজ।
সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষকদের আলাদা করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষকের কোনো জাত নেই, শিক্ষক তো শিক্ষকই। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, শিক্ষা ও শিক্ষকদের পেছনে বিনিয়োগ করা মানে জাতির উন্নয়নে বিনিয়োগ করা। শিক্ষাকে উন্নত করতে হলে শিক্ষককে আগে উন্নত করতে হবে, শিক্ষকদের পেটে ভাত থাকতে হবে।
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ আরও বলেন, শিক্ষক উন্নত না হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জিত হবে না। কাজেই আমি বলি, শিক্ষকের কোনো শ্রেণি বিভাজন থাকা উচিত না।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জামান প্রমুখ।