কোটা আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ওই সাক্ষাৎকারে প্রতিমন্ত্রী আন্দোলন ও সহিংসতার বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারে প্রতিমন্ত্রী জানান, উত্তেজনা কমাতে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। তবে তৃতীয় একটি পক্ষ আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে যাতে তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে শান্তি ফেরানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনী সবকিছু করেছে।’
দেশে এই অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য ‘চরমপন্থি’, ‘সন্ত্রাসী’সহ ‘তৃতীয় পক্ষ’কে অভিযুক্ত করে প্রতিমন্ত্রী আলজাজিরাকে বলেন, আমরা ছাত্রদেরকে সন্ত্রাসী এবং সহিংসতাকারী বলছি না। এটি করেছে একটি তৃতীয় পক্ষ, যারা আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করেছে এবং তারাই এসব ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তবে কিছু লোক আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করেছে এবং তারা এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে যার সুবিধা তারা নিতে পারে… এবং সরকারের পতন ঘটাতে পারে।
এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সদর দপ্তরে হামলার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ভবনের নিরাপত্তায় অনেক বেশি পুলিশ সদস্য ছিলেন। তবে তাদের গুলি চালানোর অনুমতি ছিল না। ফলে নাশকতাকারীরা বিটিভি ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়; আগুন দেয় ও ভাংচুরের মাধ্যমে সমস্ত সম্পদ নষ্ট করে।
মোহাম্মদ এ আরাফাত আরও বলেন, সরকার এখনও অস্থিরতা থেকে মৃতের সংখ্যা নিধারণ করতে পারেনি। কেননা যখন হাতহত, আহত এবং নিহতের কথা আসে তখন আমরা পুলিশ, সাধারণ মানুষ, বিক্ষোভকারী বা সরকারের সমর্থকদের মধ্যে বৈষম্য করতে রাজি নই।
সহিসংতার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিটি কী ঘটেছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত নিশ্চিত করবে, যাতে করে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা যায়।
এ সময় মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের বিষয়ে যেকোনো আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কেবল জনগণকে রক্ষা করেছেন।