সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন, ১৪৩১

৬০ বছরে দুই লাখের বেশি খতনা করিয়েছি: মন্টু খলিফা

একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার ওসমানপুর গ্রামের মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন, গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়েছেন। মন্টু খলিফার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাকিবুল ইসলাম

-কেমন আছেন? ছেলে-মেয়ে কতজন? 
মন্টু খলিফা: আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ অনেক ভালো রেখেছেন। তিন ছেলে ও চার মেয়ে আমার।

-আপনার পেশায় কি কোনো ছেলে এসেছে? 
মন্টু খলিফা: এসেছে, শুধু ছোট ছেলে এ কাজের সঙ্গে জড়িত।

-আপনি কেন এই পেশায় এলেন? 
মন্টু খলিফা: আমার বাপ মৃত মো. কছিমদ্দিন খলিফা ও দাদার ঐতিহ্য এই পেশা। তাঁদের এই পেশাকে আঁকড়ে ধরে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই। আমার বয়স যখন ২৫ বছর, তখন বাবাকে হারাই। তবে তার আগেই বাবা এই পেশাটা আমাকে শিখিয়ে দিয়ে যান। সেই থেকে ৬০ বছর ধরে বাবার পেশাটা আঁকড়ে ধরে আছি।

-আপনার জীবনে ৬০ বছরে কতজন শিশুর খতনা বা মুসলমানি দিয়েছেন?
মন্টু খলিফা: আমি ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর সুন্নতে খতনা বা মুসলমানি দিয়েছে।

-পেশাটা আপনার কেমন লাগে? 
মন্টু খলিফা: আমার কাছে পেশাটা সব থেকে প্রিয়। কারণ এটা আমার বাবা-দাদার পেশা। তা ছাড়া আমি কোনো পেশাকেই ছোট মনে করি না।

-আপনার কাছে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে কোনো শিশুর দুর্ঘটনা ঘটেছে? 
মন্টু খলিফা: আল্লাহর রহমতে আমার কাছে আজ পর্যন্ত সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে কোনো শিশুর দুর্ঘটনা ঘটেনি।

-কয়টি জেলার শিশুদের খতনা করিয়েছেন? 
মন্টু খলিফা: মোট তিনটি জেলায়। আমার নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গা এবং পাশের দুই জেলা যশোর ও মেহেরপুর। আর আমি যানবাহন হিসেবে ব্যবহার করি সাইকেল। এই তিন জেলায় বাইসাইকেল চালিয়েই যাতায়াত করি। আর বিভিন্ন গ্রামে আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী আছে। রাত হয়ে গেলে তাদের কাছে অবস্থান করি।

Join Manab Kallyan