কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নিহত হন সাংবাদিক হাসান মেহেদী। পাশাপাশি বিভিন্ন ঘটনায় নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাধারণ সাংবাদিকরা।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ে ‘গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি’ জানিয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান। এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আহত সাংবাদিকরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
ফটো সাংবাদিক শামিম আহমেদ বলেন, ‘মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় আমার ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে। আমার ওপর কোনো ছাত্র হামলা করেনি। বরং ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা আমাকে ঘিরে ধরে মারধর করেছে।’
যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রাব্বি সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা সাধারণ সাংবাদিকরা আসলে কোথায় যাবো? আমাদের নিরাপত্তা দেবে কে? আমরা আমাদের চারজন ভাইকে হারালাম। বহু ভাই-বোন আহত, রাষ্ট্র কি তাদের খোঁজ নিয়েছে? এমন কি খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি, যে ট্রমার মধ্যে আমরা সব গণমাধ্যমকর্মী। আমরা প্রতিমুহূর্তে আতঙ্কে আছি। এটা কবে কাটবে।’
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতাদের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, আমাদের যেসব সাংবাদিক নেতা আছেন তারা শুধু টেলিভিশিনের টকশোতে এসে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের গল্প করেন। বাস্তবে তারা কিছুই করেন না। বাস্তবে তারা সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কিছুই করেন না।
রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) সভাপতি একাত্তর টিভির সাংবাদিক জেমসন মাহবুব বলেন, ‘সাংবাদিকদের জন্য কেউ কাঁদে না। সাংবাদিকরা সাধারণ মানুষের কথা বলে। কিন্তু দুর্ঘটনার শিকার এ সাংবাদিকরাই হয়ে থাকেন।’
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপন দেওয়ান বলেন, ‘সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনে জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে তাদের বিচার করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন গণমাধ্যমকর্মীরা।’