মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে টেকনাফ ও নাফ নদী কার্যত নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাঁজোয়া যানের আনাগোনা বেড়েছে।
নাফ নদীতে বিশেষ নৌযান নামিয়েছে কোস্ট গার্ড।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য এখন অন্যতম সংঘাতপূর্ণ এলাকা। যার আঁচ এসে পড়ছে কক্সবাজারের টেকনাফে। তাই এই অঞ্চলে বিজিবির শক্তি অন্তত ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
টেকনাফে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ছোট দলের টহল বাড়িয়েছে বিজিবি। শাহপরীর দ্বীপ থেকে পুরো টেকনাফে সাঁজোয়া যানের টহলও বেড়েছে। পাশাপাশি বিশেষায়িত চৌকি বসিয়ে করা হচ্ছে নজরদারি। গেল শনিবারের পর কোনো রোহিঙ্গাকে এখান দিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
নাফ নদীতেও কড়া নজরদারি রয়েছে কোস্ট গার্ডের। মেটাল শার্ক ও কান্ট্রি বোট দিয়ে নদীপথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডের শক্তিও প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। নাফ নদীতে মাছ ধরায় বিধিনিষেধ থাকলেও, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে দূরে গভীর সাগরে কড়াকড়ি নেই।