চীনের ঝেচিয়াং নরমাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো ১৬তম আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব। প্রতিবারের ন্যায় এবারও সাংস্কৃতিক উৎসবটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ছিল স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।
উৎসবে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক, জাতিগত কারুকাজ, খেলার ক্রিয়াকলাপ ও বিশেষ রান্নার মাধ্যমে তাদের দেশের সংস্কৃতি প্রদর্শন করেন। তবে উৎসবে বিশেষ আর্কষণ ছিল শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের হাতে ও গালে বাংলাদেশের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা অঙ্কন।
উৎসবে বাংলাদেশের স্টলটি সাজানো হয় লাল-সবুজ পতাকা, দোয়েল পাখি, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দেশীয় দর্শনীয় স্থানের ছবির মাধ্যমে।
খাবারের তালিকায় স্থান পায় রসগোল্লা, পাটিসাপটা ও পুলি পিঠা, গাজরের হালুয়া, বুন্দিয়া, সেমাই, শিঙাড়া, ডিম পিঠা, চিকেন কারি, পোলাও এবং বিশেষ স্বাদের চটপটি।
সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন মাহমুদুর রহমান রোকন, মোবারক হোসাইন ও সাদিয়া সারমিন।
অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে সহায়তা করেন মিজানুর রহমান, মো. মারুফ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শরিফুল ইসলাম, মিনহাজুল তাহমিদ, এস এম আদনান, হাবিব হাসান শাকিল ভূইয়া ও জিনিয়া।
অনুষ্ঠানে দুই হাজারের বেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাছাড়া অনলাইনে প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ উৎসবটি উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ, চীন, মরক্কো, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, আজারবাইজান, বেনিন, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া, গিনি, ঘানা, নামিবিয়া, লাইবেরিয়া, জিম্বাবুয়ে, কঙ্গো, ইথিওপিয়াসহ ২৬টি দেশ অংশ নেয় সাংস্কৃতিক উৎসবে।