কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহীদ হয়েছেন বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাফিক উদ্দিন আহম্মেদ আহনাফ। এরই মধ্যে পতন হয়েছে শেখ হাসিনার। দীর্ঘদিন পর খুলেছে স্কুল-কলেজ। সবাই শ্রেণিকক্ষে এলেও ফিরে আসেননি তিনি।
তাই তো সহপাঠীরা তাঁর আসনে ফুুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শ্রেণিকক্ষের সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিটি পোস্ট করে আবেগঘন স্টাটাস দিচ্ছেন নেটিজেনরা। সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন শাফিক উদ্দিন আহম্মেদ আহনাফকে।
লেখক ও সাংবাদিক মাজহার সরকার লিখেছেন, ‘বিএএফ শাহীন কলেজ, বন্ধুদের মাঝে ফুল হয়ে ফিরেছে শহীদ আহনাফ।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহবুব এ রহমান লিখেছেন, ‘বন্ধুরা ফিরেছে। ফেরেনি আহনাফ। এভাবে কত আহনাফরা ফিরবে না আর! তাঁদের এই আত্মত্যাগ আমাদের গৌরবের মিনার। আমাদের নায়কদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’
সাংবাদিক সৈয়দ আল হাসান শিমুল লিখেছেন, ‘সবাই এক্সাম দিচ্ছে। সেখানে নেই শাফিক উদ্দিন আহম্মেদ আহনাফ। ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে মিরপুর-১০ নম্বরে গুলিতে নিহত হয় আহনাফ। বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল আহনাফ। সে নেই। তবে সহপাঠীরা তাকে এভাবে স্মরণ করছে।’
কথাশিল্পী ও ব্যাংকার তানজিম তানিম লিখেছেন, ‘কলেজের ছোট ভাইটাকে ছাড়া আবারও পরীক্ষা শুরু হয়েছে।’
কণ্ঠশিল্পী খায়রুল ওয়াসী লিখেছেন, ‘আমাদের শাহীন কলেজের আহনাফ একসাথেই ফুল হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। ছাত্র ভাইয়ের বিপদে ছাত্র ভাই জীবন দেয়। প্রতিবাদী হয়ে।’
কলাম লেখক আজহার মাহমুদ লিখেছেন, ‘আহা জীবন! বন্ধু আহনাফ আর ফিরবে না। তবে হৃদয়ে আজীবন থেকে যাবে। এভাবেই আহনাফের সিটটা আলাদা করে রেখেছে সহপাঠীরা।’
গল্পকার ও চিকিৎসক আশরাফ জুয়েল লিখেছেন, ‘আজকের একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় আহনাফ নেই। দেশের জন্য তিনি শহীদ হয়ে গেছেন। রোল নাম্বার অনুযায়ী তার বেঞ্চে সুহৃদ সহপাঠীদের পুষ্পাঞ্জলি। আমরা তোমাদের ভুলবো না।’