রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১ কার্তিক, ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে চেয়ারম্যান টিপুকে প্রধান করে দুই হত্যা মামলায় আসামি ১০৬৬

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থী আফনান পাটওয়ারী ও সাব্বির আহমেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলাতেই সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ১৬৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৯০০ জনকে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আফনান ও সাব্বির হত্যা মামলায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলাতেই চেয়ারম্যান টিপু প্রধান আসামি।

পুলিশ জানায়, বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে আফনান হত্যার ঘটনায় তার মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০-৭০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। একই রাতে সাব্বির হত্যা মামলায় তার বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে ৯১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট দুপুরে মাদাম ব্রিজ ও ঝুমুর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন। সেখানে অভিযুক্তদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আফনান পাটওয়ারী নামের এক ছাত্র মারা যান। এরপর আন্দোলনকারীরা বাজারের তমিজ মার্কেট এলাকায় গেলে সাবেক পৌরমেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের বাসার ছাদ থেকে চেয়ারম্যান টিপুর নেতৃত্বে প্রায় আড়াই ঘণ্টা গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাউছার আহমেদ বিজয়, ওসমান গণি ও সাব্বির আহমেদ নামের আরও তিনজন মারা যায়।

এসময় গুলিতে শতাধিক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মেয়র তাহের ও টিপুর বাসভবন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। পরে টিপুসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন পালিয়ে যান। আন্দোলনকারীদের গণপিটুনিতে তমিজ মার্কেট এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের আটজন মারা যান। একইদিন গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মেয়র তাহেরের বাসা থেকে উদ্ধার করে ২৫ জনকে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু পলাতক রয়েছেন। ফলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

টিপু লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবু তাহেরের মেজো ছেলে।

Join Manab Kallyan