বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

ঢাবির উপাচার্য ও দুই উপ-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যা জানা গেলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ও দুই উপ-উপাচার্য পদে তিনজন অধ্যাপককে নিয়োগের তথ্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমও ‘বিশেষ সূত্রে’ এ তিনটি পদে নিয়োগের তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে এ নিয়ে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ফেসবুকে ছড়িয়েপড়া তথ্য ও গণমাধ্যমে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্র ব্যবহার করে যে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে, সেখানে উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান নিয়োগ পাচ্ছেন বলে জানানো হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক।

তাছাড়া উপ-উপাচার্য পদে যে দুজন নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বলে প্রচার হয়েছে, তারা হলেন- অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশা এবং ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল।

বিষয়টি জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর রেজিস্ট্রার নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেখানে (রেজিস্ট্রার দপ্তরে) কোনো নির্দেশনা যায়নি।

তবে নিয়োগের বিষয়টি সত্য বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তা। তারা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতি ও আচার্যকে যে ফাইল পাঠানো হয়, সেটাতে তিনি সম্মতি দিয়েছেন। অর্থাৎ, সারসংক্ষেপ পাস হয়েছে। এখন সেই ফাইল মন্ত্রণালয়ে আসবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এটি হাতে পেলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তার সইয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, যে খবরটি গণমাধ্যমে এসেছে, সেটা বঙ্গভবন থেকে ফাঁস হয়েছে। মন্ত্রণালয় ফাইল পাঠিয়েছিল। কাদের নাম ছিল সেটা অবগত। সই করার সঙ্গে সঙ্গে সেখান (বঙ্গভবন) থেকে গণমাধ্যমে তথ্যটা চলে গেছে। তবে সেই ফাইলটা আজকের কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে আসেনি। হয়তো আগামীকাল (মঙ্গলবার) আসবে। তখন প্রজ্ঞাপন হবে।

এদিকে, নিয়োগ পেতে যাওয়া তিনজনের মধ্যে উপ-উপাচার্য পদে নাম থাকা ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক. সাইমা হক বিদিশার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাকে মৌখিকভাবে কিছুটা টাচ দেওয়া বা অবগত করা হয়েছে। সত্যি বলতে আনুষ্ঠানিক কিছু জানি না, জানানোও হয়নি। প্রজ্ঞাপন হলে সেটা জানা যাবে।’

Join Manab Kallyan