ইমরুল শাহেদ: ‘জাতীয় পুরস্কার পাইনি বলে আমার কোনো আক্ষেপ নেই’। এ কথা বলেছেন রোহিঙ্গা চলচ্চিত্রের নায়িকা আরশি হোসেন। এ ছবিটি যখন সেন্সর হয় তখন ছবিটি প্রদর্শিত হওয়ার পর একজন সদস্য আরশি হোসেনকে ফোন করে তাৎক্ষণিকভাবে বলেছেন, তুমি আগামী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিশ্চিত করে ফেলেছ। চিত্রামোদী মহলে এভাবেই প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল যে রোহিঙ্গা ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য নায়িকা আরশি হোসেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবেন। কিন্তু পাননি।

এই নিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় আরশি হোসেন বলেছেন, ‘আমার ভাগ্যে হয়নি তাই এবার পাইনি। তাই বলে আমি হাল ছাড়বো না। আগামীতে পাওয়ার চেষ্টা করব।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে অনেক ছবির অফার আসছে। ব্যাটে-বলে মিলছে না বলে করছি না। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।’ আপাতত তিনি নীরব কেন জানতে চাওয়া হলে আরশি বলেন, ‘নীরব হয়ে থাকছি না। শারীরিক কিছু কারণে আমি কাজ করা থেকে বিরত আছি। এখন নিজেকে প্রস্তুত করেছি। আবারও কাজে তৎপর হব।’ তবে রোহিঙ্গা ছবির জন্য আরশি হোসেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কা না পেলেও চিত্রগ্রাহক এবং আরো একজন পেয়েছেন।

ছবিটির পরিচালক অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বলেন, ‘যারা পেয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলছি, আরশি হোসেন আমার ছবিটিতে অসাধারণ অভিনয় করেছেন।’ উল্লেখ করার বিষয় হলো, দৃশ্যের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার অভিব্যক্তি মনে রাখার মতো। কিন্তু জাতীয় পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলী তাকে পাশ কাটিয়ে গেল কেন তা কারো বোধ-বুদ্ধিতে ধরেনি।।
প্রসঙ্গান্তরে আরশি হোসেন বলেন, ‘নতুনদের নিয়ে নির্মাতাদের বেশির ভাগই কাজ করতে চান না। কিন্তু কোনো নতুন নায়ক বা নায়িকা যদি প্রযোজক নিয়ে আসতে পারেন, তাদেরকে নিয়ে কাজ করতে নির্মাতাদের কোনো আপত্তি থাকে না। আমার পক্ষে প্রযোজক ধরে আনা সম্ভব নয়। কারো প্রয়োজন হলে আমাকে নেবেন, প্রয়োজন না হলে নেবেন না। এমন কি সরকারি অনুদানের ছবিগুলোতেও নতুনদের নিয়ে কাজ করতে চান না নির্মাতারা। তারা অনুদানই আনেন তারকাদের নামে আবেদন করে। অথচ অনুদানের অর্থে নির্মিত ছবিগুলো দিয়ে নতুন তারকা তৈরির একটা সম্ভাবনা থাকলেও সেটা করার সুযোগ নেই। অথচ এখানে ব্যক্তি লগ্নীরও প্রাধান্য নেই। লক্ষ্য করলেই দেখবেন, বর্তমানে ব্যক্তি লগ্নীর মাধ্যমে তারকা তৈরি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে বলেও মনে হয় না।’ নিজের ক্যারিয়ার উজ্জীবিত রাখার প্রতি আলোকপাত করে আরশি হোসেন বলেন, তার সম্পর্কে চলচ্চিত্রশিল্পের কেউ কেউ অসত্য কিছু নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। তাতে তার কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। কিন্তু তার প্রশ্ন হলো, এসব ফিসফাস থাকবে কেন, তিনিতো কারো ব্যাপারে নাক গলান না।