চলতি বছর হজ করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ১ হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩১ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে মক্কার মসজিদুল হারামে তাপমাত্রা ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। তীব্র গরমের কারণেই এবার এতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরব কূটনীতিকরা ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তীব্র গরমে এখন পর্যন্ত মিশরের মোট ৬৫৮ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৬৩০ জনই অনিবন্ধিত ছিলেন। মিশর থেকে এ বছর ৫০ হাজার ৭৫২ জন নিবন্ধিত হয়ে হজ করেছেন।
নিবন্ধিত হয়ে হজ করতে যাওয়াটা ব্যয়বহুল হওয়ায় প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ অনিয়মিত চ্যানেলে হজের চেষ্টা করেন। নিবন্ধন না থাকায় তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় থাকতে পারেন না।
এদিকে, হজে এতজনের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ‘ক্রাইসিস সেল’ গঠন করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি।
এদিকে, বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার রাতে ৩১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ছয়জন নারী।
পাকিস্তানের প্রায় দেড়লাখ হজযাত্রীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫৮ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির এক কূটনীতিক।
অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়া থেকে এবার প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার জন হজে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে দেশটির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মালয়েশিয়া, ভারত, জর্ডান, ইরান, সেনেগাল, টিউনিশিয়া, সুদান ও ইরাকের কুর্দিস্তান এলাকার হজযাত্রীরাও মারা গেছেন বলে সেই দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে। অবশ্য তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, গরমের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালে হজের সময় পদদলিত হয়ে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩০০ জন মারা গিয়েছিলেন।
সূত্র: এএফপি, ডয়চে ভেলে