সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন, ১৪৩১

সাংবাদিকের ওপর হামলা: বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক নাহিদ হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় বিএনপির দুই নেতার নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সাহাবুদ্দিন শাহীন মামলাটি গ্রহণ করেন।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক নাহিদ হাসান গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর বঙ্গ ইসলামিয়া সুপার মার্কেটে কেনাকাটা করতে যান। মার্কেট মালিকের ছেলে সৈয়দ আসিফুল ইসলাম সজলের সঙ্গে পূর্বপরিচিত থাকায় সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য তারা মার্কেটের চতুর্থতলায় তার অফিসে যান। সেখানে আলাপরত অবস্থায় হঠাৎ সজলের সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জেরে মার্কেট দখল ও চাঁদাবাজি করতে শাহবাগ থানা বিএনপির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম স্বপন, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলির স্বামী আবুল হোসেন টাবু ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ ইউসুফের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা, রড, জিআই পাইপ, রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এসময় আল সাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও নাহিদ নিজেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক পরিচয় দিলেও সজলের ওপর হামলার পাশাপাশি তাদেরও মাথায় ইট, বাঁশ ও পাইপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা।

একপর্যায়ে ভুক্তভোগীদের লাথি মেরে মাটিতে ফেলে হাতে থাকা অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে ও সঙ্গে থাকা তিনটি মোবাইল, নগদ টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাঁচটি এটিএম কার্ড, অফিসের আইডি কার্ড এবং বাইকের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার খবর পেয়ে সাংবাদিক সমিতির অন্যান্য সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা আসামিদের কেউ গ্রেফতার হয়েছে কি না- জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি এ কে এম সাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি তাদের গ্রেফতার করা হবে। এ বিষয়ে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি।

Join Manab Kallyan