শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২ কার্তিক, ১৪৩১

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৬১৩ জন, মৃত্যু ১৭২

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ হাজার ৬১৩ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭২ জন। এর মধ্যে ৮৪ জন হাসপাতালে মারা গেছেন এবং ৮৮ জন মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল।

বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৯৮ জন। এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (২৯আগস্ট) সকাল ১২টা থেকে শুরু করে সোয়া একটা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আহতদের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকেই ভালো হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, এখনও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে আমাদের কাছে ঢামেকে রোগী আছে ৯৮ জন। এসব রোগীদের আমরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। যাদের অপারেশনের দরকার হচ্ছে আমরা নিজেরা সরঞ্জাম কিনে দিচ্ছি, তাদের কিনতে হচ্ছে না। দুচোখ হারিয়েছে ৭ জন, হাত-পা কাটা হয়েছে দুজনের। কতজন চোখ হারিয়েছে, জানতে চাইলে বলা হয়, অনেকে চিকিৎসাধীন আছেন। এখনো বলা যাচ্ছে না তাদের অপারেশন দরকার কি না, সেটা সময়সাপেক্ষ। তবে আমাদের কাছে বর্তমান তথ্য হলো, ৭ জন দুই চোখ হারিয়েছেন, খুব বাজেভাবে ইঞ্জুরি হয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের একচোখে খুব খারাপ ইঞ্জুরি হয়েছে। চক্ষু ইঞ্জুরির বেশির ভাগই প্যালেট ইঞ্জুরি।

বেওয়ারিশ লাশ কতগুলো এসেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালক জানান, আসলে অনেকগুলো লাশ এসেছে। অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে হাসপাতালে। আমাদের কাজ মৃত্যুর পর পুলিশ কেস হলে লাশ পুলিশকে দিয়ে দেওয়া। কতগুলো বেওয়ারিশ লাশ, সেটা পুলিশই ভালো বলতে পারবে।

আন্দোলনে আহত হয়ে অনেকে হাসপাতালে এসে নিজ খরচে চিকিৎসা নিয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য কমিটি করা হয়েছে পরে। প্রথম দিকে যারা চিকিৎসা নিয়েছে, তাদের অনেককেই হয়তো কিছু খরচ করতে হয়েছে। এরপর সরকারি নির্দেশনা আসার পর সবকিছু হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়েছে। তবে দু-এক জন থাকতে পারে, যারা নিজ খরচে চিকিৎসাসেবা নিয়েছে। যারা করেছে, তাদের যথাযথ ডকুমেন্টসহ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা সেটি দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সেই নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই আহতদের সহায়তা করতে আসছেন বলেন তিনি ।

তিনি বলেন, আহতদের জন্য ফান্ড রয়েছে, এ ছাড়া অনেকেই সহায়তা করতে আসছে। সবাই এসে ২০১ নম্বর ওয়ার্ডে যেতে চায়, যেখানে আন্দোলনের আহতদের জন্য ডেডিকেটেড,সবাই যেন সহায়তা পায়, সে জন্য তালিকা করে নির্দেশনা দিচ্ছি। গত পরশু একজন এসে ২০ ও ৫০ হাজার টাকা করে দিয়ে গেছে।

Join Manab Kallyan