যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুদানে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়েছে। কোরবানির মাংস নিয়ে গাজার বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ালো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মানবিক সংগঠন আশ ফাউন্ডেশন ইউএস এইনক।
বাংলাদেশের এনজিও সংস্থা আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন প্রবাসীদের পাঠানো অনুদান দিয়ে ফিলিস্তিনে একটি মানবিক সংস্থার সহযোগিতায় ঈদের দিন পাঁচটি পশু কোরবানি করে গাজার খান ইউনিসের আল মায়াউশি ও রাফায় আল ক্বারারা উদ্বাস্তু শিবিরের শরণার্থীদের মাঝে মাংস বিতরণ করে।
মানবিক সংস্থা দুটির স্বেচ্ছাসেবীরা গাজাবাসীকে ঈদের দিনে কোরবানির মাংসগুলো তাঁবুতে তাঁবুতে গিয়ে পৌঁছে দেন। এসময় অসহায় ফিলিস্তিনের উদ্বাস্তুরা বাংলাদেশি আশ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন বলেন, আশ ফাউন্ডেশন গত নভেম্বর থেকে গাজায় জরুরি খাবার, পানি, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, মসজিদ নির্মাণ, টয়লেট স্থাপনসহ নানা মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের দিন নির্যাতিত অসহায় গাজাবাসীর মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করতে পেরে আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করছি।
গাজায় টানা আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় মানুষের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছে বহু গবাদি পশু, অনাহারেও মারা গেছে অনেক। এর ফলে চলতি বছর ফিলিস্তিনে ছিল কোরবানির পশুর তীব্র সংকট। ইসরায়েলিরা গাজার মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য পালনেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবছর ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গাজায় যত সংখ্যক কোরবানির পশু দরকার ছিল, তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে কোরবানির পশুর দামও ছিল বিগত বছরগুরোর তুলনায় অনেক বেশি।
রাফাসহ সব কয়টি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়ে কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেছিল ইসরায়েল।
গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ। টানা আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আক্রমণে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতিতে ভুগছে গাজার লাখো মানুষ।