বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

দিনাজপুরে চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক পূজা উদযাপন

দিনাজপুরের সদর উপজেলার সুখসাগরের পূর্বপারে চৈত্র সংক্রান্ত উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় একজন ভক্তের পিঠে বড়শি গেথে চড়ক ঘোরানো হয়। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে জেলার বিদ্যাস্বরি এলাকায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চড়ক পূজাকে কেন্দ্র করে উৎসুক দশনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন। পূজায় গাছের এক পাশে বড়শিতে গেথে এক ভক্তকে অন্য পাশ থেকে দড়ি টেনে ঘোরানো হয়। চড়ক ঘোরানোর সময় শঙ্খ ধ্বনি ও ঢাক ঢোল বাজানো হয়।

শত শত বছরের পরম্পরায় এ চৈত্র সংক্রান্তি পালন করেন দিনাজপুরের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। চড়ক পূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মন্দিরে কয়েকদিন ধরে হরগৌরী নৃত্য, অসিনৃত্য, শিবের গাজন করা হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানে এ চড়ক ঘোরানো হয়। এ উপলক্ষে অনেক জায়গায় একদিনের মেলা বসে।

চড়ক ঘোরানো দেখতে আসা বাপ্পী রায় জানান, প্রতি বছর এখানে চড়ক ঘোরানো হয়। সনাতন ধর্মের মানুষরা পূণ্যের আশায় এ চড়ক পূজার আয়োজন করে থাকেন। প্রধান মাহান সাগর রায় বলেন, মহাদেব ঠাকুরের পূজা ও আরাধনা করা হয়। প্রতিবছরই এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে যাকে চড়ক হিসেবে ঘোরানো হয়, তিনি তার হাতে থাকা কলার ছড়ি থেকে মেলা দেখতে আসা দর্শনার্থীদের উদ্দেশে ছুড়ে দেন। এসময় দর্শনার্থীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন কলা সংগ্রহ করার জন্য।

নকুল রায় নামে একজন দর্শক বলেন, আমার কোন সন্তান নেই। শুনেছি এ কলা খেলে সন্তান লাভ করা যায়। অনেক কষ্টে একটি কলা পেয়েছি। আমি ও আমার স্ত্রী একটি সন্তানের আশায় কলাটি ভগবানের নামে খাবো।

jagonews24

পূজা শেষে কথা হয় চড়কে ঘোরা সন্টু রায়ের (৫৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, এ নিয়ে চারবার চড়ক হিসেবে ঘুরেছি। আমি সুস্থ্য আছি। কোনো দিনই কোনো সমস্যা হয়নি। পূণ্য লাভের আশায় এ কষ্ট করি।

দুলাল চন্দ্র রায় (৬০) নামে এক আয়োজক বলেন, রাজাদের আমল থেকে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ছোটবেলা থেকেই এ চড়ক ঘরানো দেখে আসছি। আমার দাদা, আমার পিতার পর আমিও এ আয়োজনের সঙ্গে জড়িত।

Join Manab Kallyan