ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহতের ঘটনায় আটক ট্রাকের চালক আল-আমিন (৩২) ও হেলপার নাজমুমের (২২) বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্ঘটনায় একই পরিবারে নিহত ৬ জনের স্বজন হাদিউর রহমান (২৩)। তিনি নিহত হাসিবুর রহমান প্রিন্সের ছোট ভাই। গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ১৪ জন নিহত হয়।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, দায়ের মামলা নং ১৮। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ট্রাকের চালক ও হেলপার আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। আদালত পুলিশের পরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মনিরুজ্জামান চালক আল-আমিন ও হেলপার নাজমুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ১৪ জন নিহত হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে শহরের বাসন্ডা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ। চালক আল-আমিন (২৯) ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের বাড়ইগাতি গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। হেলপার নাজমুল (২২) খুলনার জোড়াগেট এলাকার কালু শেখের ছেলে।
ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরের গ্রাম বাসন্ডা থেকে চালক এবং হেলপারকে আটক করা হয়। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার চালক আল-আমিনের ট্রাক চালানোর জন্য লাইসেন্স ছিল না। তিনি হালকা যানের লাইসেন্স দিয়ে ভারি যানবাহন চালাচ্ছিলেন।