বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬ ফাল্গুন, ১৪৩১

জান্নাতুল নাঈমের কবিতা

একটি ছেলের জন্য এবং অন্যান্য

একটি ছেলের জন্য

একটি ছেলের জন্য হতে পারি মেঘ
যেই মেঘে ছুঁয়ে দিলে বৃষ্টি ঝরে পড়বে
ঝরঝর, টুপটাপ, ঝুপঝাপ বৃষ্টি ঝরে পড়বে
একটি ছেলের জন্য হতে পারি পাহাড়
যেই পাহাড় পৃথিবীর সমস্ত পাহাড়কে হার মানাবে
কেউ এই চূড়া জয় করতে পারেনি
মুহ্যমান হয়ে পাহাড়টি একা বহুকাল দাঁড়িয়ে থাকবে।

একটি ছেলের জন্য হতে পারি সমুদ্র জলরাশি
একটু ঝড় হলেই আছড়ে পড়বো তারই বুকে
বেদনার নীল আকাশের নিচে সমুদ্র হবো
একটি ছেলের জন্য হতে পারি বিস্মৃত আকাশ
এই আকাশ রোজ দেখতে পাওয়া যায়
তবে ধরতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা দায়।

****

মুছে দাও

অপমানের ডালা সাজিয়ে বসে আছো
আমাকে শব্দের আঘাতে বরণ করবে তাই
স্মৃতি কি অপমানে হত্যা হয়?
যদি পারো মুছে দাও প্রথম দেখার অস্থির স্মৃতি
মুছে দাও আমার চোখে তাকানোর শিহরণের অনুভূতি
মুছে দাও যত্নের সমস্ত কথোপকথন
মুছে দাও শহরের প্রতিটি কোনার স্মৃতি
মুছে দাও রাত্রির অন্ধকারে অভিমান-মানের স্মৃতি
মুছে দাও আমাকে নিয়ে অধিকার খাটানোর আলাপন।

স্মৃতি ধ্বংস করে যত ইচ্ছা অপমান করো
যত ইচ্ছা আঘাতের পিপাসা মিটাও।

****

হাহাকার

আমার সব পবিত্রতা তোমাকে দিলাম
সর্বনামের যত ভালোবাসা ঢেলে দিলাম
উদারময় শান্ত আচরণও দিলাম
তোমাকে দিলাম জায়নামাজের পবিত্রতম দুটি হাত
পুরুষের স্পর্শ না পাওয়া মায়া ভরা মুখটুকু দিলাম।

বুকে অগ্নুৎপাত বহন করা সত্ত্বেও তুষারপাতের চোখ দিলাম
স্পর্শ ছাড়া প্রগাঢ় স্মৃতি তোমায় দিলাম
ইচ্ছেদের ডানা ঝাঁপটানো হাহাকার তোমায় দিলাম
অসীম ভালোবাসার অস্থিরময় জীবন দিলাম
বসন্তের ফুলের মতো ডালা সাজানো সময় দিলাম।

যা কিছু সুন্দর সব তোমায় দিলাম
যা কিছু অসুন্দর ছিল করাঘাতে ধ্বংস করলাম
তবুও তুমি রঙিন চশমা পরে আরও বেশির খোঁজে ব্যস্ত
শোনো ছেলে, সজ্জিত ভারবাহী জিনিসও একদিন তলিয়ে যায়।

Join Manab Kallyan