শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১

শেরপুর

সেতু না থাকায় ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের মানুষ

স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ ৫০ বছরও একটি সেতু তৈরি না হওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সিংগাবড়ুনা ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
শ্রীবরদীর উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের একটি নদীর নাম ঢেওফা। এটির কিছু অংশের অবস্থান সদর উপজেলার সিংগাবড়ুনা ইউনিয়নের গবিন্দপুরের মালিনি এলাকায়। নদীর পূর্ব ও পশ্চিম দিকে রয়েছে, হাসধরা, বরুইকুচি, চক্রপুর,সিংগাবড়ুনা, হাতিবর,মাটিফাটা, গড়ঘোলা,পিরোজপুর,খামার পাড়া, সগুনা,গড়ের বাজার সহ কয়েটি এলাকা। এসব এলাকার প্রায় ২০ হাজারের বেশী মানুষ চলা ফেরা করে এই পথে। বর্ষাকালে তাদের একমাত্র ভরসা কলাগাছের ভেলা হলেও শুকনো মৌসুমে বাশের সাঁকো। এককথায় ভোগান্তিতে কাটে সারা বছর। ভোগান্তি নিরসনে স্থানীয়দের একটাই দাবি ঢেওফা নদীতে সেতু চাই।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা জানান, নদীর উভয় পাশে ফসল উৎপাদন অনেক ভালো হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্যত থাকার কারণে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। সেগুলো বাজারে সঠিকভাবে বিক্রি করতে পারি না। আমরা যারা সুস্থ সবল মানুষ আছি তাদের জন্য সমস্যা কম হলেও অসুস্থ, বৃদ্ধ মানুষেদের দ্রুত সময়ে হাসাপতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। অনেকই সময় রাস্তায় ডেলীভারী হতে গিয়ে মা ও শিশু উভয়ের মৃত্যুও হয়েছে।
স্থানীয় শিক্ষক বিপ্লব বলেন ছোট বেলা থেকে শুনতে শুনতে অনার্স শেষ করে, শিক্ষকতা করছি সেতু হয় হয় করেও হচ্ছে না। আমি ১৩ কিলোমিটার ঘুরে ভায়াডাংগা বাজারে শিক্ষকতা করি, আমার বাড়ি থেকে ভায়াডাংগা ৪ কিলোমিটার, আমাকে দৈনিক ৯ কিলোমিটার বেশী রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা রাজ্জাক বলেন সেতু না থাকায় আমাদের হাটবাজার যাওয়া, আত্বীয় সজনদের বাসা যাওয়া অনেক কষ্ট হচ্ছে। কৃষকেরা জানান সেতু না থাকায় আমাদের কাজে যেতে সমস্যা হয় দেড়িতে যাওয়ায় অনেক সময় আমাদের কাজেই নেয় না লোকজন।
সাবেক ইউপি সদস্য জানান১৫, ২০ হাজার মানুষ এই পথে চলাফেরা করে, আমরা অনেকবার মেম্বার চেয়ারম্যান এর কাছে ধরনা দিয়েছি তারা বলছেন এটি নির্বাহী প্রকোশলী অধিদফতরের কাজ। সরকার অনেক বড় বড় প্রকল্পের কাজ করেছে আমাদের জন্য সামান্য একটু দৃষ্টি দিলেই হয়ে যাবে।
সিংগাবড়ুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুজ্জামান জানান, যেহেতু এটি কোটি টাকার কাজ সেজন্য আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সামর্থ্য নেই, তাই জেলা পরিষদ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এগিয়ে আসলে সেতুটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
Join Manab Kallyan